লন্ডন, ১৮৫১: গ্রেট এক্সিবিশন ১৮৫১-র কেন্দ্রীয় আকর্ষণ ছিল ক্রিস্টাল প্যালেস, যা সেই সময়ের বিশ্বের বৃহত্তম ভবন। মাত্র ১৯০ দিনে নির্মাণ শেষ হওয়ায় এটি দীর্ঘদিন ধরে এক রহস্যের বিষয় ছিল। তবে ইতিহাসবিদ ও গবেষকরা অবশেষে এর রহস্য উন্মোচন করেছেন।

নতুন আবিষ্কার: গবেষণায় দেখা গেছে, এই দ্রুত নির্মাণ সম্ভব হয়েছিল একটি বিশেষ স্ক্রু থ্রেডের কারণে, যা তৈরি করেছিলেন প্রকৌশলী জোসেফ হুইটওয়ার্থ। সেই সময়ে প্রতিটি স্ক্রু ও নাট-বোল্টের আলাদা মাপ থাকায় যেকোনো ক্ষতি বা হারিয়ে গেলে নতুনভাবে তৈরি করা ছাড়া উপায় ছিল না। তবে হুইটওয়ার্থ একটি মানক স্ক্রু থ্রেড ডিজাইন করেন, যা প্রথমবারের মতো নির্দিষ্ট মাপ অনুযায়ী তৈরি হয়। এর ফলে, ৩০,০০০ নাট-বোল্ট ব্যবহৃত হওয়া সত্ত্বেও নির্মাণে কোনো বিলম্ব হয়নি।

প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা: ১৮৫৪ সালে দক্ষিণ লন্ডনে পুনর্নির্মাণের পর, ১৯৩৬ সালে এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ক্রিস্টাল প্যালেস ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে এটির প্রকৃত নির্মাণ পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন রয়ে যায়। তবে আধুনিক গবেষণায় পাওয়া নাট-বোল্টের নিখুঁত মাপ মিলিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, এটি হুইটওয়ার্থের উদ্ভাবিত ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড হুইটওয়ার্থ (BSW) থ্রেড অনুসারে নির্মিত হয়েছিল। এই যুগান্তকারী প্রযুক্তি শুধু ক্রিস্টাল প্যালেসই নয়, পরবর্তী সময়ে সমগ্র নির্মাণশিল্পে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসে।