ড্রাগন ফল: পুষ্টিগুণে ভরপুর সুপারফুড।
বাইরে থেকে দেখতে অদ্ভুত লাগলেও, ভেতরের অংশে লুকিয়ে আছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। পুষ্টিবিদদের মতে, ড্রাগন ফল এখন ‘সুপারফুড’ হিসেবে পরিচিত, কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, প্রদাহরোধী এবং হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্য। গবেষণা বলছে, এই ফল ক্যানসার, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক হতে পারে।
গাট হেলথের জন্য উপকারী: সম্প্রতি আমাদের হজম ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বেড়েছে। পুষ্টিবিদ ড. লিনিয়া প্যাটেল বলেন, ড্রাগন ফলে থাকা প্রিবায়োটিক উপাদান অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্টি জোগায়, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শরীরকে রাখে হাইড্রেটেড: ড্রাগন ফলে ৮০% এর বেশি পানি থাকে, যা শরীরের জলশূন্যতা রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। গরমের দিনে এটি হতে পারে এক দুর্দান্ত পানীয় বিকল্প।
ফাইবারের চমৎকার উৎস: পুষ্টিবিদ ড. মেগান রসি বলেন, ড্রাগন ফল উচ্চ মাত্রায় ফাইবার সরবরাহ করে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং দীর্ঘ সময় ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ: ড. প্যাটেল জানান, ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C ও ভিটামিন A রয়েছে, যা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি-র্যাডিক্যাল দূর করে ও দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসারের মতো রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে ড্রাগন ফলকে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরী 🍉💪