রাসুল (সা.)-এর জান্নাতের নিশ্চয়তা: ছয়টি গুণ অর্জনে চিরস্থায়ী মুক্তির প্রতিশ্রুতি
ইসলাম শান্তি ও ন্যায়ের ধর্ম, যেখানে ব্যক্তির চারিত্রিক গুণাবলি ঈমানের পরিপূর্ণতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন ছয়টি গুণের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন, যেগুলো সারা জীবনের জন্য অনুসরণ করলে একজন মুমিনকে জান্নাতের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
একটি সহিহ হাদিসে উল্লেখ রয়েছে—উবাদা ইবনে সামিত (রাদিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসুল (সা.) সাহাবিদের উদ্দেশে বলেন, “তোমরা আমাকে ছয়টি গুণে অঙ্গীকার করো, আমি তোমাদের জন্য জান্নাতের জিম্মাদার হবো।”
সেই ছয়টি গুণ হলো:
১. সত্যবাদিতা: জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সত্য কথা বলা। মিথ্যা ও প্রতারণা থেকে বিরত থাকা।
২. অঙ্গীকার পূরণ: যে কোনো প্রতিশ্রুতি বা চুক্তি করলে তা যথাযথভাবে পালন করা।
৩. আমানতের খেয়ানত না করা: কেউ যদি কোনো কিছু গোপনে বা দায়িত্ব হিসেবে দেয়, তা সততা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে রক্ষা করা।
৪. লজ্জাস্থানের হেফাজত: যৌনতা ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে পবিত্রতা বজায় রাখা এবং ব্যভিচার ও অনৈতিক কাজ থেকে দূরে থাকা।
৫. দৃষ্টি সংযম: অনর্থক ও হারাম বস্তু বা দৃশ্যের প্রতি দৃষ্টিপাত থেকে চোখকে সংযত রাখা।
৬. হাতকে সংযত রাখা: নিজের হাত দ্বারা অন্যকে কষ্ট না দেওয়া, কারও প্রতি জুলুম বা অন্যায় না করা।
এই হাদিসটি মুসনাদে আহমদ (হাদিস : ২২৮০৯)-এ বর্ণিত হয়েছে। এসব গুণ ব্যক্তি জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে এবং ব্যক্তিগত জীবনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হবে।
তাই আমাদের উচিত, প্রতিটি মুসলমান হিসেবে এসব চারিত্রিক গুণ নিজের জীবনে বাস্তবায়নের চেষ্টা করা। এটাই হতে পারে জান্নাতের সুনিশ্চিত পথ।