ঈদে আসছে সীমান্ত আর সিনথিয়ার “যাত্রা বিরতি”
ঈদের আনন্দঘন মুহূর্তে ঘরমুখো মানুষের জীবন ও অভিজ্ঞতা নিয়ে নির্মিত হয়েছে ক্লাব ইলেভেন এন্টারটেইনমেন্টের বিশেষ নাটক ‘যাত্রা বিরতি’। ব্যতিক্রমী গল্প আর বিশাল আয়োজনে নির্মিত এই নাটকটি আসছে দর্শকদের জন্য এক নতুন আকর্ষণ নিয়ে।
নাটকটি পরিচালনা করেছেন আদিফ হাসান, যিনি প্রথমবারের মতো ক্লাব ইলেভেন এন্টারটেইনমেন্টে নির্মাণ করলেন নাটক। নাটকটির চিত্রনাট্য লিখেছেন সুবাতা রাহিক জারিফা এবং প্রযোজনায় রয়েছেন আকবর হায়দার মুন্না। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত এবং সিনথিয়া ইয়াসমিন। এই প্রথমবারের মতো তারা একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও রয়েছেন সুমাইয়া অর্পা, বিনয় ভদ্র, হায়দার আলী, বাদল, কাঞ্চনসহ আরও অনেকেই।

নাটকের গল্পে উঠে এসেছে ঈদের আগের রাতের শেষ লঞ্চযাত্রার নানা আবেগ, টানাপড়েন আর মানুষের জীবনের টুকরো টুকরো গল্প। ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি লঞ্চে দেখা মেলে নানা শ্রেণিপেশার মানুষের- প্রবাসফেরত যাত্রী, কোরবানির খাসি হাতে যাত্রী, সদ্য বিবাহিত দম্পতি, ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত ভাই, কিংবা শুধুই ঈদের আনন্দে বাড়ি ফেরা আত্মীয়স্বজন। এই যাত্রীদের নিয়েই গল্প এগিয়ে যায় এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে।
নাটকটির অন্যতম আকর্ষণ হলো এর বিশাল শুটিং ইউনিট- বরিশালের একটি বিলাসবহুল লঞ্চ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৫০০ জনেরও বেশি অভিনয়শিল্পী নিয়ে দৃশ্যায়ন করা হয়েছে নাটকটি।

গল্পে লঞ্চের সুপারভাইজার দেলোয়ার চরিত্রে দেখা যাবে এক সহজ-সরল কিন্তু নিজেকে ‘অতিজ্ঞানী’ ভাবা ব্যক্তিকে, যার সঙ্গে ভিআইপি কেবিনের যাত্রী আইরিনের মধ্যে ঘটতে থাকে নানা ভুল বোঝাবুঝি এবং মনোমালিন্য। ঈদের সকালবেলার আনন্দময় মুহূর্তে হঠাৎ ঘটে এক দুর্ঘটনা, যা সৃষ্টি করে ভয় ও অনিশ্চয়তা। যাত্রীরা কি পারবেন শেষ পর্যন্ত নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছাতে?
অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত বলেন, “‘যাত্রা বিরতি’ আমার করা ঈদের নাটকগুলোর মধ্যে বিশেষ একটি কাজ। লক্ষ লক্ষ মানুষ ঈদে বাড়ি ফেরে, কিন্তু সেই যাত্রা কি সবসময় আনন্দময় হয়? নাটকটি সেই অভিজ্ঞতা, সেই বাস্তবতা ছুঁয়ে গেছে। দর্শকদের ভালো লাগলেই আমাদের শ্রম সার্থক হবে।”
নাটকটি মুক্তি পাবে: ৫ জুন, বিকেল ৫টা, ক্লাব ইলেভেন এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে।
👉 ‘যাত্রা বিরতি’ শুধু একটি নাটক নয়- এটি এক চেনা যাত্রার অচেনা অনুভবের গল্প।