জার্মানির ম্যানহাইম শহরের একটি পয়ঃনিষ্কাশন শোধনাগার ব্যতিক্রমী একটি উদ্ভাবনের মাধ্যমে পয়ঃবর্জ্যকে রূপান্তর করছে জলবায়ু-নিরপেক্ষ মিথানলে, যা জাহাজ চলাচলের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। পরিবেশবান্ধব এই পদ্ধতি শুধু সামুদ্রিক পরিবহন খাতে নির্গমন হ্রাস করতেই নয়, বরং পয়ঃশোধনাগার গুলোকে টেকসই জ্বালানি উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে তুলতে পারে।

বিশ্বব্যাপী কার্গো জাহাজগুলো প্রায় ৩ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে থাকে। এমন বাস্তবতায় মিথানল জ্বালানি হিসেবে পরিবেশবান্ধব একটি বিকল্প, যা কেবল জাহাজচালনার জন্য নয়, রসায়ন শিল্পেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই অনেকেই একে পরিচ্ছন্ন সামুদ্রিক পরিবহনের ভবিষ্যৎ হিসেবে দেখছেন।

এ বিষয়ে কার্লসরুহে ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক থমাস হার্ট বলেন, “এটি একটি উদ্ভাবনী পদ্ধতি যা দেখায় কীভাবে সহজলভ্য সম্পদকে বুদ্ধিমত্তা ও পরিবেশবান্ধব উপায়ে কাজে লাগানো যায়।” প্রতিষ্ঠানটির তত্ত্বাবধানে তৈরি ম্যানহাইম প্লান্টটিকে ভবিষ্যতে অন্যান্য শোধনাগারের জন্য একটি আদর্শ হিসেবে ধরা হচ্ছে।

বর্তমানে ইউরোপজুড়ে রয়েছে প্রায় ৮০,০০০টি পয়ঃশোধনাগার, যেগুলোর জ্বালানি উৎপাদনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। জার্মানি এই খাতে গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

ম্যানহাইমের এই প্রকল্পটি প্রমাণ করছে যে, যথাযথ গবেষণা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনাকেও রূপান্তর করা যেতে পারে পরিচ্ছন্ন শক্তির উৎসে। এক কথায়, ‘মল’ হতে পারে আগামী দিনের ‘মূল্যবান’ শক্তি।