কসমিক বেসবল: অন্ধকারে আলো জ্বালানো এক নতুন ক্রিকেটীয় রোমাঞ্চ
আমেরিকার ঐতিহ্যবাহী খেলায় এসেছে চোখ ধাঁধানো এক নতুন মাত্রা— কসমিক বেসবল। দ্বিতীয় মৌসুমেই এই ব্যতিক্রমধর্মী খেলা হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল, আর এতে অংশ নিতে এখনই প্রায় চার লাখ ভক্ত অপেক্ষা করছেন টিকিটের আশায়।
এই বেসবল ম্যাচগুলো হয় সম্পূর্ণ ব্ল্যাক লাইটের নিচে, যেখানে খেলোয়াড়রা পরেন ফ্লুরোসেন্ট জার্সি এবং বল ব্যবহার করা হয় নিওন আলোক প্রতিফলক। গ্যালারিতে থাকে আলো, রঙ, শব্দ আর উৎসবের আমেজে মেতে ওঠা দর্শকদের উল্লাস।
ক্রিস মার্টিন, যিনি এই লিগের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উদ্যোক্তা, বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটাই— যত বড় সম্ভব একটা পরিবেশ তৈরি করা, যাতে মানুষ স্মৃতি নিয়ে ফিরে যেতে পারে। যখন ব্ল্যাক লাইট জ্বলে ওঠে, তখন যেন ম্যাজিক শুরু হয়।”
দুইটি দল— কসমিক চিলি পেপারস এবং গ্লো মুজিস— মূলত গঠিত সাবেক পেশাদার খেলোয়াড়দের নিয়ে, যারা আগেও মাইনর লিগ বা আন্তর্জাতিক লিগে অংশ নিয়েছেন। এবার তারা অংশ নিচ্ছেন এক সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতার অংশ হতে।
এক উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে মার্টিন জানান, “আপনি যখন এটা দেখবেন, তখন বলবেন— ‘এটা একদম পাগলামো!’”
এই উজ্জ্বল খেলার ভবিষ্যৎও আশাব্যঞ্জক। মেজর লিগ বেসবল (MLB) ইতিমধ্যে কসমিক বেসবলের পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে এসেছে। ভবিষ্যতে এই খেলা হয়তো দেখা যাবে আমেরিকার বিখ্যাত স্টেডিয়ামগুলোতেও।
তবে শুধু আলো কিংবা বিনোদনই নয়, মার্টিন জোর দেন আরেকটি দিকেও— “আমরা এমন একটা পরিবেশ তৈরি করতে চাই যেটা পুরোপুরি পরিবারের জন্য উপযোগী। প্রতিটি ম্যাচ শেষে মানুষ এসে বলে— ‘এটা একেবারে পরিবারের জন্য তৈরি।’”
এ এক নতুন ধরনের খেলা— যেখানে স্পোর্টস আর বিনোদন মিলেমিশে তৈরি হয় এক জ্বলজ্বলে অভিজ্ঞতা। কসমিক বেসবল তাই শুধু খেলা নয়, হয়ে উঠেছে এক জ্যোতির্ময় উৎসব।