ইসলাম শুধু ফরজ ইবাদতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং নফল ও সুন্নত আমলগুলোও মানুষের আত্মিক পরিশুদ্ধি, আল্লাহর নৈকট্য ও গোনাহ মোচনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। মানুষ প্রতিনিয়ত ছোট-বড় নানা গোনাহে লিপ্ত হয়—জেনে বা না জেনে। এসব গোনাহ থেকে মুক্তির জন্য কোরআন ও হাদিসে কিছু দিকনির্দেশনা রয়েছে, যা মুমিনের জীবনে আলোর দিশা দেখায়। নিচে গোনাহ মোচনের সংক্ষিপ্ত ৭টি উপায় (কোরআন-হাদিস ভিত্তিক) তুলে ধরা হলো:

১. ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা):
দিনে বারবার আন্তরিকভাবে “আস্তাগফিরুল্লাহ” বললে গোনাহ মাফ হয়। (সূরা নিসা: ১১০)

২. যিকির (সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ):
এই যিকিরগুলো গোনাহ ঝরিয়ে দেয়, যেমন গাছের পাতা ঝরে পড়ে। (আহমাদ: ২১৩৯৮)

৩. তাহাজ্জুদের নামাজ:
রাতের শেষ প্রহরে ইবাদত ও ইস্তিগফার গোনাহ মাফের সুযোগ এনে দেয়। (সূরা যারিয়াত: ১৮)

৪. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ও ইস্তিগফার বারবার বলা:
এটি আখিরাতে বড় পুরস্কার ও মুক্তির কারণ। (বুখারি: ৬৮৬৪)

৫. নফল রোজা (আরাফা ও আশুরা):
এক বছর বা দুই বছরের গোনাহ মাফ হয়। (মুসলিম: ১১৬২)

৬. কারো দোষ গোপন ও ক্ষমা করা:
আল্লাহও তাঁর দোষ দুনিয়া ও আখিরাতে গোপন করেন। (মুসলিম: ২৫৯০)

৭. সাদাকা ও গোপনে দান:
সাদাকা গোনাহ নিভিয়ে দেয়, যেমন পানি আগুন নিভায়। (তিরমিযি: ২৬১৬)

📖 শেষ কথা:
“নিশ্চয়ই তোমার রব অবারিত ক্ষমাশীল।” (সূরা আন-নাজম: ৩২)
আসুন, আমরা সবাই বেশি বেশি নফল ও সুন্নত আমলে মনোনিবেশ করি, আল্লাহর রহমত লাভে নিজেকে প্রস্তুত করি।