ইসলাম মেয়েসন্তানকে দিয়েছে বিশেষ মর্যাদা ও সম্মান। যেখানে সমাজে মেয়েকে অবহেলার দৃষ্টিতে দেখা হতো, ঠিক সেই সময়েই ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন তাদের, যারা মেয়েসন্তানকে স্নেহ, যত্ন ও দায়িত্ব নিয়ে বড় করে তোলেন।

হাদিসে এসেছে,
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন:
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
“যে ব্যক্তির তিনটি মেয়েসন্তান থাকে, এবং সে তাদের আশ্রয় দেয়, তাদের খরচ বহন করে ও সদ্ব্যবহার করে—তার জন্য জান্নাত আবশ্যক হয়ে যায়।” (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ১৪২৪৭)

একজন সাহাবি তখন জানতে চান, “হে আল্লাহর রাসুল, যদি কারো দুটি মেয়েসন্তান থাকে?”
রাসুল (সা.) উত্তরে বলেন, “দুটি মেয়ে হলেও।”

এই হাদিসে শুধু দায়িত্বই নয়, বরং মেয়েসন্তানের সঠিক লালন-পালনের মাধ্যমে আখিরাতে জান্নাত পাওয়ার প্রতিশ্রুতি স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। ইসলাম মেয়েকে বোঝা নয়, বরং বরকতের উৎস হিসেবে অভিহিত করেছে।

সমাজে ইতিবাচক বার্তা: এই হাদিস থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সমাজে মেয়েসন্তানকে অবহেলা নয়, ভালোবাসা ও মর্যাদার সঙ্গে দেখার মানসিকতা গড়ে তোলা জরুরি। মেয়েকে শিক্ষিত, সৎ ও আত্মনির্ভর করে গড়ে তোলাই একজন পিতা-মাতার মহান দায়িত্ব—যার পুরস্কার হতে পারে চিরস্থায়ী জান্নাত।