কোপেনহেগেন, এপ্রিল: ইউরোপজুড়ে ৩৯টি রেলস্টেশনকে যুক্ত করতে একটি বিশাল হাই-স্পিড ট্রেন নেটওয়ার্ক নির্মাণের মহাপরিকল্পনা প্রকাশ করেছে কোপেনহেগেনভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘২১শ শতকের ইউরোপ’। “আবার ইউরোপকে একীভূত করার” লক্ষ্যে ২০৪০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য ‘স্টারলাইন’ নামক এই পরিকল্পনায় প্রায় ২২,০০০ কিলোমিটার (১৩,৭০০ মাইল) দীর্ঘ হাই-স্পিড রেলপথ নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এই নেটওয়ার্কে রেলগাড়িগুলো ঘন্টায় ৩০০ থেকে ৪০০ কিমি গতিতে চলবে এবং পাঁচটি মূল লাইনের মাধ্যমে একক সময়সূচিতে এক দেশ থেকে অন্য দেশে নির্বিঘ্নে চলাচল করবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এটি বিদ্যমান অবকাঠামোর ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে এবং রাজনৈতিক সীমান্ত দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকবে না। পরিকল্পনার আওতায় পূর্ব ইউরোপও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

২১শ শতকের ইউরোপ জানিয়েছে, বর্তমানে ইউরোপে সীমান্ত অতিক্রম করে ভ্রমণ এখনও ধীর, জটিল ও ব্যয়বহুল, এবং চলমান পরিকল্পনাগুলোতে প্রয়োজনীয় গতি ও উচ্চাভিলাষের অভাব রয়েছে। তারা মনে করে, এই হাই-স্পিড রেল প্রকল্পটি ইউরোপের রাজধানীগুলোর মধ্যে সাশ্রয়ী, টেকসই এবং সুবিধাজনক যাত্রা নিশ্চিত করে স্বল্পদূরত্বের বিমানের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেবে।

ছবিঃ সংগৃহীত

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই উদ্যোগ সফল হলে ২০৫০ সালের নেট-জিরো কার্বন নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ইউরোপের জন্য এটি হবে “সর্বোত্তম সুযোগ”। এতে স্বল্পদূরত্বের বিমানের ব্যবহার ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

এই নেটওয়ার্কটি হবে সরকার-অনুদানপ্রাপ্ত কিন্তু বেসরকারিভাবে পরিচালিত এবং এটি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির মাধ্যমে চালিত হবে, জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের ওপর নির্ভর করবে না। পুরো ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে একটি নতুন ইউরোপীয় রেল কর্তৃপক্ষ (ইরা)।

২১শ শতকের ইউরোপ বলেছে, “একটি সত্যিকারের সমন্বিত রেল ব্যবস্থা আর শুধুই সুবিধার বিষয় নয়, বরং ২১শ শতকে ইউরোপের স্থিতিশীলতার জন্য এটি একটি কৌশলগত প্রয়োজনীয়তা।”