রোজার বরকতে মুমিনের আত্মশুদ্ধি ও প্রশান্তি
রোজা শুধু উপবাস নয়, এটি আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর প্রতি নিখাদ নিষ্ঠার প্রকাশ। ইসলামic শিক্ষায় রোজার গুরুত্ব অপরিসীম, এবং মহানবী (সা.) হাদিসে উল্লেখ করেছেন যে, রোজার পুরস্কার স্বয়ং আল্লাহ তাআলা দেবেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৯২৭)
মুহাদ্দিসদের মতে, রোজা ‘রিয়া’ বা লোক দেখানোর মোহ থেকে মুক্ত, যা একমাত্র আল্লাহ ও বান্দার মধ্যকার ইবাদত। ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, “রোজা একমাত্র ইবাদত যা একান্তভাবে আল্লাহর জন্য নির্ধারিত, কারণ এটি প্রকাশ্য নয়, বরং অভ্যন্তরীণ সংযমের প্রতিফলন।”
হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “তুমি রোজাকে আঁকড়ে ধরো, যেহেতু এর কোনো বিকল্প নেই।” (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ২২২০)
আল্লাহ প্রতিটি আমলের প্রতিদান নির্দিষ্টভাবে দেন, তবে রোজার প্রতিদান সীমাহীন। ইবনে উসাইমিন (রহ.) বলেন, “রোজার মর্যাদা এতটাই অনন্য যে, আল্লাহ নিজেই একে নিজের বলে ঘোষণা করেছেন।”
রোজা শুধু ইবাদত নয়, বরং এটি আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিক প্রশান্তির এক অনন্য মাধ্যম। আল্লাহ সবাইকে এই প্রশান্তি অর্জনের তাওফিক দান করুন।