প্রাচীন গ্রিক ও রোমান ভাস্কর্যও সুগন্ধযুক্ত ছিল
প্রাচীন গ্রিস ও রোমের ভাস্কর্যগুলো শুধু দৃষ্টিনন্দনই ছিল না, সেগুলো থেকে সুগন্ধও ছড়াত। সম্প্রতি অক্সফোর্ড জার্নাল অব আর্কিওলজি-তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় এই চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণার লেখক সিসিলি ব্রন্স, যিনি কোপেনহেগেনের গ্লিপটোটেক আর্ট মিউজিয়ামের প্রত্নতাত্ত্বিক ও কিউরেটর, উল্লেখ করেছেন যে গ্রিক-রোমান ভাস্কর্যগুলোতে প্রায়ই গোলাপ, জলপাই তেল এবং মৌমাছির মোমের সুগন্ধ ব্যবহার করা হতো।
প্রাচীন লেখনীতে সুগন্ধি ভাস্কর্যের উল্লেখ: গবেষক ব্রন্স প্রাচীন বিভিন্ন গ্রন্থ অধ্যয়ন করতে গিয়ে লক্ষ্য করেন, কিছু লেখায় মিষ্টি সুগন্ধযুক্ত ভাস্কর্যের উল্লেখ রয়েছে। এতে আগ্রহী হয়ে তিনি আরও অনুসন্ধান চালান এবং সিসেরো, ভিত্রুভিয়াস ও প্লিনি দ্য এল্ডারের লেখাগুলোর মধ্যে এ বিষয়ে প্রচুর প্রমাণ খুঁজে পান। এতে উল্লেখ রয়েছে, প্রাচীন গ্রিক ও রোমান দেবদেবীর মূর্তিগুলো সুগন্ধি দ্বারা অভিষিক্ত করা হতো।
ভাস্কর্যে সুগন্ধ ব্যবহারের পদ্ধতি: গবেষণায় আরও জানা গেছে, এসব ভাস্কর্য বিভিন্ন উপায়ে সুগন্ধযুক্ত করা হতো। “গ্যানোসিস” নামে পরিচিত একটি পদ্ধতিতে মূর্তিগুলো মোম ও তেলের মিশ্রণে আবৃত করা হতো। আবার “কসমেসিস” নামক আরেকটি পদ্ধতিতে জলপাই তেল প্রয়োগ করা হতো, যা ভাস্কর্যকে প্রকৃতির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করত।
দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ অভিজ্ঞতা: এই সুগন্ধযুক্ত ভাস্কর্যগুলো শুধু দেখার জন্যই ছিল না, বরং এগুলো দেখতে আসা দর্শনার্থীরা ঘ্রাণের মাধ্যমেও এক অনন্য অভিজ্ঞতা লাভ করতেন। ব্রন্সের গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রাচীন মানুষদের জন্য এসব ভাস্কর্য কেবল চাক্ষুষ নয়, বরং ঘ্রাণেন্দ্রিয়েরও এক দারুণ অভিজ্ঞতা তৈরি করত।